মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মেয়ে জামিলা আক্তার রুমি নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুমোদিত অফিসিয়াল আম্পায়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। চলতি উইমেন্স চ্যালেঞ্জ কাপ ক্রিকেটে মাঠে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন রুমি।
বিডি বয়েজ অনূর্ধ্ব–১৫ ও বিডি উইমেন্স রেড দলের মধ্যকার এক ম্যাচে রুমির নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত ও পেশাদারিত্ব খেলোয়াড় ও দর্শক সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রুমির বাড়ি রাউৎগাঁও ইউনিয়নের নর্তন গ্রামে। বাবা আব্দুল মান্নান সিএনজি চালক, মা নুরুন্নাহার গৃহিণী। চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট রুমি ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগী। মাস্টার শরাফত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় তাঁর। পরে ভর্তি হন কুলাউড়ার ব্লু কিংস ক্রিকেট একাডেমিতে।
তিনি ইন্দিরা রোড ক্রিকেট একাডেমির আবাসিক ছাত্রী ছিলেন এবং তিন মৌসুম ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছেন। অনূর্ধ্ব–১৯ ক্যাম্প ও বিকেএসপিতে ছয় মাসের অনুশীলনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলোয়াড়ি জীবনে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সাফল্যের ঝুলি ভরেছেন।
রুমির সাফল্যে শিক্ষক–শিক্ষার্থী, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর সাবেক শিক্ষক কামরুল হাসান সামাদ লিখেছেন, ‘আজ নিজের কর্মকে সার্থক মনে করছি।’
রুমি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন। স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের বিশ্বাস, রুমির এই অর্জন শুধু মৌলভীবাজার নয়, দেশের নারী ক্রিকেটের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।