কাতার বিশ্বকাপ জেতার পরে সমর্থক হিসেবে অনুভূতি প্রকাশ করেছি। সেখানে দীর্ঘ অপ্রাপ্তি ও হতাশার চোরাবালি পেরিয়ে আলোর রোশনাই নিয়ে লেখার সময় অনুভব করেছিলাম মেসিকে নিয়ে আলাদা ইতিহাসের বয়ান। ফুটবল নিয়ে আমার প্রেমের শুরু রিকুয়েলমকে দেখে। রিকুয়েলমের জাদু পূর্ণতা না পাওয়ার মাঝখানে ফুটবলে আগমন ঘটে লিওনেল মেসির। যে কিনা শিশু-কৈশোর থেকেই ফুটদ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছিলো। রোজারিওর সেই পুঁচকে ছেলেটা নিয়তির জেরে চলে আসে বার্সেলোনার লা-মাসিয়ায়। সেখান থেকে তার ফুটনৈপুণ্য বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিগোচর হওয়া শুরু।
সময়ের বিবর্তনে মেসি বার্সেলোনার পোস্টারবয় হওয়ার সময়ে জাতীয় দলে বলার মতো পারফর্ম ছিলো না। কিংবা একা মেসি আর্জেন্টিনাকে সাফল্য এনে দিতে পারছিল না। যেখানে বার্সেলোনার হয়ে এক-দুই মৌসুম পরে ধামাকা পারফর্ম করে যাচ্ছিলো। অবশ্য বার্সেলোনায় পাদপ্রদীপের আসার সময়টাতে মেসি আর্জেন্টিনাকে যুব বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। দেশকে এনে দিয়েছে অলিম্পিক ফুটবলের সোনার পদক। যুব বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক জেতার পরে মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার উচ্চাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু দেশের বদলে বার্সেলোনায় হয়ে মেসি দ্রুত সাফল্যের চুড়ায় উঠে যাচ্ছিলো। একের পর এক রেকর্ড অতিক্রম করে মেসি বার্সেলোনাকে উপহার দিচ্ছিলো একেকটা গৌরবান্বিত মুহূর্ত। মেসি-গার্দিওলা জুটির বদৌলতে বার্সেলোনা ইউরোপ শাসন করছিলো।
এত এত সাফল্যের পরে মেসিকে নিয়ে স্বভাবতই উন্মাদনা ছড়িয়েছে সারাবিশ্বে। আর্জেন্টিনাও আশায় বুক বেঁধেছে ম্যারাডোনার উত্তরসূরি মেসিই আর্জেন্টিনাকে দেশকে এনে দিবে বিশ্বকাপ। কিন্তু একেকটা বিশ্বকাপ যায় আর হতাশা সঙ্গী হয় তাদের। অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে, মেসিকে বলা হচ্ছিল যতটা না বার্সেলোনার ঠিক তার উল্টোটা আর্জেন্টিনার। বার্সেলোনার হয়ে চোখ ধাঁধানো সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মেসি একের পর এক ব্যালন ডি অর জিতেই চলছিল, সাথে ফিফার দ্য বেস্ট, বেস্ট প্লে-মেকার এওয়ার্ড, গোল্ডেন শ্যু, পিচিচি ট্রফিসহ অসংখ্য স্বীকৃতি। কিন্তু দেশের হয়ে এই তো সেদিন পর্যন্ত মেসির অর্জন খালি কলসি। কিন্তু নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপে মেসি বিশ্বকাপ জয়ের নিঃশ্বাস ছোঁয়া দূরত্বে পৌঁছে গিয়েছিল। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনা হেরে যায় একেবারে শেষের দিকে। তারপর মেসি দেশের হয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনাল হেরেছে টানা দুইবার। টানা তিন ফাইনাল হেরে মেসি জাতীয় দল থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছিল। অবশ্য সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, হতে দেয়নি বিশ্বব্যাপী তার অগণিত সমর্থক ও গুণগ্রাহীদের দল।
রাশিয়া বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়ার পরে আর্জেন্টিনা ফুটবলে একটা পরিবর্তন এলো। দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল লায়োনেল স্কালোনির হাতে। আনকোরা স্কালোনির কোচিং প্যানেলে যাঁদের রাখা হয়েছিল তাঁদের পরিচিতি মূল কোচের চেয়ে বেশি। কিন্তু স্কালোনি দায়িত্ব নিয়েই ইউরোপে খেলা আর্জেন্টিনার প্লেয়ারদেরকে পাখির চোখ করে। তার সাথে ঘরোয়া ফুটবল থেকেও তুলে আনে তরুণ প্রতিভা। পুরাতনদের একেবারে বাদ না দিয়ে নতুন-পুরাতন একটা কম্বিনেশন গড়ে তোলে। এভাবেই মূলত মেসির স্বপ্নের পালে একটু একটু করে হাওয়া লাগিয়ে যাচ্ছিলেন লায়োনেল স্কালোনি। সেই সাথে আর্জেন্টিনা দলকে মেসিকেন্দ্রিকতা থেকে বের করে এনে মেসিকে পূর্ণ স্বাধীনতায় খেলানোর ফর্মেশন খুঁজে নিচ্ছিলেন স্কালোনি, যাতে করে মেসির উপর থেকে চাপ কমে আসে।
এদিকে স্কালোনির অধীনে আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে পারফর্ম করা শুরু করে। কোপা আমেরিকা-২০১৯ সংস্করণে ব্রাজিলের কাছে সেমিফাইনালে হারলেও শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থান লাভ করে। অন্যদিকে স্কালোনি আর্জেন্টিনাকে জয়ের তাড়নায় উজ্জীবিত করেই চলছিল। টানা ম্যাচ জেতার সাথে সাথে মেসিকে ফ্রি-রোলে রেখে দলে পারফর্মারদের সংখ্যা বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। যেটার ফলশ্রুতিতে কোপা আমেরিকা-২০২১ সংস্করণে অবশেষে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনা মেজর কোন শিরোপা জেতে। যেখানে দুর্দান্ত পারফর্ম করে মেসি জিতে নেয় গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন শ্যু। অবশেষে মেসি জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিততে পেরেছে! বার্সেলোনার হয়ে একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে চললেও, ফুটবলের একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে ফেললেও জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা না জেতায় অনেকেই মেসিকে নানা কথা শুনিয়ে দিতো। এমনকি মেসি আর্জেন্টিনার চেয়ে বার্সেলোনাকে বেশি ভালোবাসে এই কথাও চাউর হয়েছিল!
জাতীয় দলের হয়ে অন্তত একটা শিরোপা জেতায় মেসির উপর থেকে চাপ সরে গিয়েছিল। এর মধ্যে বার্সেলোনার আর্থিক জটিলতায় মেসিকে ক্লাব ছাড়তে হয়। নতুন ঠিকানা হয় ফরাসি ক্লাব পিএসজি। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ হাজির হয় তার শতবছরের ধূলি নিয়ে। একটা বিশ্বকাপ মেসির পাওনা বলে মুখে ফেনা তুললেও গ্রেট প্লেয়াররা তো মেসিকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারে না। সেটা নিজেকে খেলেই অর্জন করে নিতে হবে। শিরোপার চাপ সরে যাওয়ায় মেসির কাতার বিশ্বকাপ অভিযানকে ধরা হয়েছিল ওয়ান লাস্ট চান্স নামে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে কাতার পৌঁছে। হয় এবার নাহয় নেভার...এমন সমীকরণে মেসির আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচেই অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে বসে সৌদি আরবের কাছে! যারা বিশ্বকাপ জিততে এসেছে তাঁরা কিনা হেরে বসেছে পুঁচকে সৌদি আরবের কাছে... তাহলে মেসির কি বিশ্বকাপ জেতা হবে না? এই প্রশ্ন ছাপিয়ে আরও বড় প্রশ্ন ছিলো আর্জেন্টিনা কি প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিচ্ছে...
কিন্তু না, মেসি ছিলো দৃঢ় প্রত্যয়ী এবং স্থির লক্ষ্যে অবিচল। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে শুরু হয় মেসির বিশ্বকাপ মিশন। মেক্সিকোর সাথে নার্ভ ভেঙ্গে যাওয়া সময়ে গোল সহ কাতার বিশ্বকাপ অবলোকন করে নতুন এক মেসিকে। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে যাওয়া মেসির আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত মহানাটকীয় ফুটনৈপুণ্যের জন্ম দিয়ে মরুর দেশ জয় করে। জয় করে নেয় কাতার বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত মেসি এনে দিতে পারে তৃতীয় বিশ্বকাপ...এ যেন ফুটবলের পূর্ণতা পাওয়া, এ যেন ফুটবলের নিজস্ব দায় শোধ করা, এ যেন নিয়তির অকৃপণ শোধবোধ! বছরের পর বছর মেসি ফুটবলকে যা দিয়েছে তাতে তার অন্তত একটা বিশ্বকাপ প্রাপ্য ছিলো। বিশ্বকাপ জেতার আকুতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেছিল-প্রয়োজনে নিজের সব ব্যালন ডি অরের বিনিময়ে অন্তত একটা বিশ্বকাপ জিততে চাই। বিশ্বকাপ না জিতেই যাকে গ্রেটেস্ট এভার ফুটবলার বলা হয়েছে সেই মেসি অবশেষে বিশ্বকাপ জিতেছে। তাও এবার দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে। গোলে-এসিস্টে আর নিবেদনে মেসির কাতার বিশ্বকাপ শতাব্দীর সেরা একটা বিশ্বকাপ। নিজে গোল্ডেন বল জেতার পরেও মাত্র এক গোল কমে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেরা স্কোরার। এমন মহাকাব্যিক পারফর্ম বিশ্বকাপ এর আগে আর দেখেইনি!
প্রথমে কোপা আমেরিকা, তারপর লা ফাইনালিসসিমা এবং তারপর দ্য আল্টিমেট প্রাইজ অফ ফুটবল অর্থাৎ বিশ্বকাপ জেতার পরে মেসির আর কিছু জেতার বাকি নেই। নিজের অষ্টম ব্যালন ডি অর জেতার পরে মেসি আক্ষরিক অর্থেই সেটা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া বিশ্বকাপ জেতার পরে কোপা আমেরিকা-২০২৪ জিতে মেসি আক্ষরিক অর্থেই একটা চক্র পূরণ করে ফেলে। সেটা হলো, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেবল। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে রেকর্ড দুইবার ট্রেবল জেতার পরে মেসি জাতীয় দলের হয়েও ঐতিহাসিক ট্রেবল (কোপা-বিশ্বকাপ-কোপা)জিতে নেয়। যে অর্জন শুধুমাত্র ইউরোপের স্পেনের আছে। ফুটবল থেকে তিনি সব পেয়ে গেছেন...বার্সেলোনার হয়ে ইউরোপের অলমোস্ট সব রেকর্ড, স্প্যানিশ লিগের অলমোস্ট সব রেকর্ড, লাতিন ফুটবলের অলমোস্ট সব রেকর্ড অতিক্রম করে যাওয়ার পরে মেসিকে নিয়ে একটা বই লেখার তাড়না অনুভব করি আমি। এর আগেও লেখা যেতো কিন্তু বিশ্বকাপ ছাড়া মেসির বাকিসব অর্জন আমার কাছে অপূর্ণ মনে হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপ জেতার পরে আমার মনে হয়েছে এবার লেখা যায়।
মেসির ক্যারিয়ারে এখন আর কোন অপূর্ণতা নেই। আছে শুধু অর্জন আর অর্জন। আছে রেকর্ডের পর রেকর্ড। নিজের রেকর্ড নিজে অতিক্রম করে মেসি সেখানে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ক্লাব ও দেশের হয়ে মেসির অর্জন অসামান্য এবং অনেকগুলো ক্ষেত্রে অনতিক্রম্য। গ্রেটেস্ট এভার ফুটবলার হিসেবে মেসিকে নিয়ে লেখাটা অবশ্যই দুঃসাধ্য। কাজটা সাত সমুদ্রে তেরো নদী পেরিয়ে মহাসমুদ্রে পৌঁছা এবং সেখান থেকে মুক্তা সংগ্রহ করার মতো। তার ক্যারিয়ারে এত দিক রয়েছে যা নিয়ে ভাবতে, পড়তে, বিশেষণ করে গুছিয়ে নিতেই আমার সময় লেগেছে বছর খানেক। তারপর সেখান থেকে বাছাই করে নিতে আরও মাস তিনেক।
মেসিকে নিয়ে লিখতে গেলে মেসির নানা বিষয় আসাটা অবধারিত । খেলার বাইরেও মানুষ মেসির সুনাম খেলোয়াড় মেসির চাইতে কোন অংশেই কম নয়। মাঠে ও মাঠের বাইরে মেসির মতো বিনয়ী খুব কমই দেখা গেছে কিংবা আর কেউ নেই। তাই, ফুটবলে মেসির অবিশ্বাস্য সব রেকর্ডের পাশাপাশি মানুষ মেসি কেমন তাও ভাবার বিষয় হয়ে গেছে । সেখানে রোজারিও থেকে লা মাসিয়া হয়ে বার্সেলোনার মুকুট মাথায় তোলা, তারপর ফরাসি সৌরভ গায়ে মেখে বিশ্বকাপ জয়ের মাঝখানে মেসির গোলের বুননগাঁথা, গ্রেটেস্ট প্লেমেকার হওয়া, ওয়ান অফ দ্য গ্রেটেস্ট ফ্রি-কিক টেকার হওয়া সহ আরও নানা দিক...তার সাথে-সাথে মেসিকে যারা গ্রেটেস্ট বানিয়েছেন তাঁরা। ওয়ান টু ওয়ান সহ মেসির আশ্চর্যজনক ড্রিবলিং , বিশ্বব্যাপী মেসির বিশ্বায়ন, জেনারেশনের পর জেনারেশনের সেই মেসিনুভূতি, জাতীয় দলে বডিগার্ড তকমা পাওয়া একটা মেসিম্যানিয়া জেনারেশন... সাথে আছে ‘ফুটবল মোর দ্যান অ্যা গেইম’ নামে মেসির একটা ক্যারিয়ার-ট্রিবিউট!
ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার ক্যারিয়ার নিয়ে বাছাই সতেরো পার হয়ে মেসি উঠে এসেছে বিশ্বকাপের বিশ্বতারকায়, মেসি এসেছে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের কারিশমায়, এসেছে শ্রেষ্ঠত্বের অবিরাম স্বীকৃতির নেশায়, ধরা দিয়েছে সেরাদের সেরার অপ্রাসঙ্গিক তর্কনামায়। যার শেষটা জাতীয় দলের হয়ে তার মণি-মুক্তোনামায়। মেসিকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বুঝেছি মেসির অর্জনের বিস্তৃত দিক। এত অসামান্য ফুটবলার আর আসবে না! ফুটবলের রেকর্ড শব্দটা মেসির নামে করা যায়। এত এত রেকর্ড মেসি নিজের নামে করে ফেলেছে যার অনেকগুলো মেসিরই রয়ে যাবে। এমনকি যে রেকর্ড এখনও রেকর্ডবুকে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেটাও বোধহয় মেসি করে বসে আছে!
মেসির ইতিহাস বারবার হোঁচট খেতে খেতে উঠে দাঁড়ানোর ইতিহাস। এই ইতিহাস যে কারও জন্য পাথেয়, অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়। মেসি শুধুমাত্র ফুটবলার হিসেবেই খ্যাত নয় বরং মেসি ফুটবল ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য সংযোজন। ফুটবলের অনন্য সংযোজন ছাপিয়ে মেসি চলনে-বলনে, ব্যক্তিত্বে আর সামাজিকতায় মানবাতিহাসেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেসির অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারের ইতিহাস ফুটবল সমর্থকদের পাশাপাশি যে কারও জন্য প্রযোজ্য। কারণ মেসি শুধু ফুটবলার হিসেবেই খ্যাত নয় বরং মানুষ হিসেবেও সমানভাবে খ্যাত। শূন্য থেকে সাফল্যের এভারেস্টে যাওয়া একজন, যে কিনা আবার ম্যান অব ব্রিলিয়ান্স হিসেবেও অভিহিত হয়েছে, সেই মেসির সবটুকু ফুটবলের মহাকাব্য হয়ে গেছে। মেসি ও ফুটবল একে অপরের সমার্থক শব্দ। ফুটবল বললে মেসি আসবে, আবার মেসি মানেই ফুটবল। আর ফুটবলের সবচাইতে বর্ণিল চরিত্রের মেসি ফুটবলে যা করেছে তাকে এক শব্দে মহাকাব্যই বলা চলে।