শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনটি ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে ব্যাট করতে নেমে একাধিক ব্যাটার শুরুর আভাস দিলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২২০ রান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৭১ ওভার। দিন শেষে ৯ রানে অপরাজিত আছেন তাইজুল ইসলাম ও ৫ রানে অপরাজিত এবাদত হোসেন।
এর আগে, শেষ স্পেশালিস্ট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আউট হন বাংলাদেশকে ১৬০ রানে রেখে। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান। উইকেটের মিছিলে ওই অবস্থায় ২০০ রান হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা জাগাই বেশি স্বাভাবিক। শঙ্কা রীতিমতো এই দুজনের ব্যাটেই উড়ে গেল।
কলম্বোয় মিরাজ ও নাঈম মিলে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৩৭ রান। এ সময় ৩১ রান করা মিরাজকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন বিশ্ব ফার্নান্দো। নাঈম আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। এরপর ৯ রান নিয়ে তাইজুল ইসলাম ও ৫ রান নিয়ে এবাদত হোসেন প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছেন।
৮ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে বাংলাদেশ আগামীকাল ফের ব্যাট করতে নামবে।
এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সাদমানের সঙ্গে এই টেস্টেও ওপেনিংয়ে নামেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ঘরোয়া ক্রিকেটের এই রানমেশিন। ১০ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে বোল্ড হন। আসিথা ফার্নান্দোর বলে আউট হওয়ার আগে ব্যাট হাতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন।
৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মুমিনুল হককে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন সাদমান। কিন্তু বাজে শটে উইকেট বিসর্জন দিয়ে দলকে বিপদে ফেলেন মুমিনুল। ডি সিলভার বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ২১ রান করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। বাংলাদেশ আরও বিপদে পড়ে মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ওপেনার সাদমান ইসলামের উইকেট হারানোর পর।
দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই বিশ্ব ফার্নান্দো ফিরিয়ে দেন আগের টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্তকে। ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন টাইগার দলপতি। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করেছেন ৮ রান। পরের ওভারের শেষ বলে আউট সাদমানও। থারিন্দু রত্নায়েকের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তার আগে ভালোই ব্যাট করছিলেন তিনি। ৯৩ বলে ৭ চারে করেছেন ৪৬ রান।
দলকে ৭৬ রানে রেখে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন সাদমান। লঙ্কান বোলারদের সামলে লিটন-মুশফিকের জুটিতে একশর বৈতরণী পার হয় টাইগাররা, ছুটছিল দেড়শর দিকেও। বাধ সাধলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা সোনাল দিনুশা। বাঁহাতি এই স্পিনার লিটনকে কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ বানান। ৫৬ বলে ৩৪ রান করেন বাংলাদেশি উইকেটকিপার।