গলের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সকালের সেশনটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। তবে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনটা দারুণভাবেই কাটাল সফরকারীরা। দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৮ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে ১৮২ রান। উইকেটে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দারুণ সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছেন দুজনেই।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৯০/৩। শূন্য রানে এনামুল আউট হন ইনিংসের শুরুতেই। এরপর সাদমান ও মুমিনুল কিছুটা সামলে নিলেও অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা থারিন্দু রত্নায়েকে পরপর দুই উইকেট তুলে নেন। সাদমান ফেরেন ১৪ রানে, মুমিনুল আউট হন ২৯ রানে।
তবে এরপর চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও নাজমুল গড়েছেন অনবদ্য এক জুটি। সেশন শেষে তাঁদের জুটির রান ১৩৭, বল খরচ হয়েছে ২৫১টি। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের কোনো উইকেট পড়েনি। ৩০ ওভারে এসেছে ৯২ রান।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটি তুলে নেন নাজমুল। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার করা ওভারে বল লেগে ঠেলে নেওয়া একটি সিঙ্গেলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এরপরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিকও পৌঁছে যান ফিফটিতে। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ১৯১ রানের ইনিংসের পর টেস্টে এটিই তার প্রথম ফিফটি।
চা বিরতির আগে অবিচ্ছিন্ন জুটি দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত এনে দিয়েছেন এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। মুশফিক ১১১ বলে ৬৬ ও নাজমুল ১৪৩ বলে ৭০ রানে অপরাজিত আছেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে এখন পর্যন্ত থারিন্দু রত্নায়েকে ২ উইকেট নিয়েছেন ৫২ রানে। তিনি আজই টেস্ট অভিষেকের স্বাদ নিয়েছেন। সব্যসাচী দক্ষতা নিয়ে ম্যাচের আগেই আলোচনায় ছিলেন তিনি। ডানহাত ও বাঁহাত দুই হাতেই স্পিন করে সে ঝলকটা ইতোমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই ম্যাচের প্রথম দিনে বাংলাদেশ যেমন শুরুটা নড়বড়ে করেছিল। তবে ৩ উইকেট খোয়ালেও ৯০ রান করে ধাক্কাটা সামলেছিল সফরকারীরা। তাতে প্রথম সেশনটাকে ধরা হচ্ছিল ‘শেয়ার্ড’ই। তবে দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না খুইয়ে ৯২ রান এই সেশনটাকে নিরঙ্কুশভাবে সেশনটাকে করে দিয়েছে বাংলাদেশের। আধিপত্যটা দিনের শেষেও নিশ্চয়ই চাইবেন শান্তরা।