সিলেট টেস্ট জয় পেলেও চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস পরাজয়ে শঙ্কিত জিম্বাবুয়ে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে সফরকারীরা।
২২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরে ছিলেন ওপেনার বেন কুরান ও অধিনায়ক ক্রেগ আরভাই। চতুর্থ উইকেটে তারা ৪৭ রানের জুটি গড়েন।
এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার শিকার হয়ে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরভিন, ওয়েসলিমাধেভেরে ও তাফাদজওয়া সিগা। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয়ে শঙ্কিত জিম্বাবুয়ে।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ইনিংসে সেন উইলিয়ামস (৬৭) ও নিক ওয়েলচের (৫৪) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে ২৭.১ ওভারে ৬০ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকার করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১৬টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম অনিক।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের পর লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করে দলকে বড় লিড উপহার দেওয়ার পাশাপাশি টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন মিরাজ। তার ১০৪ রানের ইনিংসটি ১১টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া ৪১ রান করেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ৪০ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৯ রান করেন ২০২২ সালের জুনের পর টেস্টে ফেরা এনামুল হক বিজয়। ৩৩ রান করেন মুমিনুল হক সৌরভ।
২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাইজুল ইসলামের ঘুর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয় জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে চা পান বিরতির আগে স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৭ রান জমা হতেই সফরকারীরা ২ উইকেট হারায়।
চা পানের বিরতি থেকে ফিরে হারায় আরও এক উইকেট। ২২ রানেই জিম্বাবুয়ের প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাইজুল ও নাইম হাসান। তাইজুলের শিকার হন ব্রাইন বেনেট ও নিক ওয়েস।
প্রথম ইনিংসে ৬৭ রান করা জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক সেন উইলিয়ামসকে ফেরান স্পিনার নাইম হাসান।