দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত হলে শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ শুরু করতে চায় থাইল্যান্ড। বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন দেশটির শ্রমমন্ত্রী ত্রিনুচ থিয়েনথং।
বৈঠকে থাই শ্রমমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক এমওইউ সম্পন্ন হলে নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি থাইল্যান্ডের চলমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি নিরাপদ ও টেকসই শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফয়েজ মুর্শিদ কাজী জানান, বাংলাদেশ নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত পদ্ধতিতে থাইল্যান্ডে কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত। তিনি শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের বিদ্যমান সিস্টেম ও প্রক্রিয়া সরেজমিনে দেখতে সংশ্লিষ্ট থাই কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রদূত কাজী থাই শ্রমমন্ত্রীকে এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে হওয়া আলোচনা, বিশেষ করে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। একইসঙ্গে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য বড় শ্রম গন্তব্য দেশের উত্তম চর্চা অনুসরণে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে থাই শ্রমমন্ত্রী তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে সম্ভাব্য এমওইউ নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পক্ষ থেকে থাইল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত কাজী।
উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক ধরে থাইল্যান্ডের শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চললেও সম্প্রতি দেশটির সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র সংঘাতের জেরে বিপুল সংখ্যক কম্বোডিয়ান শ্রমিক ফিরে যাওয়ায় বিষয়টি নতুন করে গতি পেয়েছে।