২০১৭ সালের পর আবারও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দ্বাদশ আসর। ছয় দলের অংশগ্রহণে এবারের টুর্নামেন্টকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। আসর সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠকর্মীরা।
কালোবাজারি ঠেকাতে এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিপিএলের হারানো জৌলুশ ফিরিয়ে আনতেই পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সে লক্ষ্যে স্টেডিয়ামের সার্বিক প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আর কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে সামনে রেখে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে গ্যালারি ও প্রেসবক্স। পাশাপাশি মাঠের উইকেট ও আউটফিল্ডেও চলছে শেষ মুহূর্তের সংস্কার ও প্রস্তুতি।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে বিপিএলের প্রথম পর্ব শুরু হবে। এই পর্বে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দীর্ঘদিন পর সিলেটের মাঠে বিপিএলের সূচনা হওয়ায় দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তবে শতভাগ অনলাইন টিকিটিং ব্যবস্থা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র বলে জানা গেছে।
বিসিবি সূত্র জানায়, সিলেটে দর্শকদের বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রচার-প্রচারণায়ও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে জমজমাট ক্রিকেট উপভোগ করবেন দর্শকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী অনি জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে শুরুর দিনে সীমিত পরিসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সিলেট পর্বে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিসিবির পরিচালক রাহাত শামস বলেন, যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের আয়োজনের মাধ্যমে বিপিএলের হারানো জৌলুশ দ্রুতই ফিরতে শুরু করবে।
এদিকে উদ্বোধনী ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। টুর্নামেন্ট শুরুর অপেক্ষায় এখন মুখিয়ে আছেন খেলোয়াড় ও দর্শকরা।