সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
রাজনীতি

দেশের মানুষের সব সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত: আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। আর দেশের মানুষের সব সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত। কেন স্থগিত? বলে, আমরা নির্বাচনের পরে করব। এটা বিনিয়োগ হোক, ব্যবসা-বাণিজ্য হোক, মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্ত পর্যন্ত আমি জানি। ভাই, নির্বাচনটা হয়ে যাক, তারপর আমরা এগুলো করব। সবকিছু স্থগিত, স্থবির।

রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক বইটির লেখক ও প্রকাশক এবং নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন।

নির্বাচন নিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেও একটি পক্ষ তা বিলম্বিত করতে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য আমির খসরু মনে করেন, পক্ষটি মূলত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ? বিশ্বাস করা যায়?

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে সংবিধানের অধীন শপথ গ্রহণ করেছে, সেই সংবিধানের অধীন গণভোটের আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আমির খসরু। তিনি বলেন, সংবিধানের স্পিরিটের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সরকার গঠন করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান আছে বর্তমানে। যে সংবিধানের অধীন অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে, এই সংবিধানে গণভোটের কোনো অপশন নেই। এখন গণভোট নির্বাচনে আগে কেন, নির্বাচনের দিনও গণভোট করা এই সংবিধান গ্রহণ করবে না।

তিনি আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের দিনে আয়োজন করার সিদ্ধান্তে বিএনপি একমত হয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সহনশীল পরিস্থিতি বজায় থাকে। দেশে পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ থাকে, বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়।

আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন আমির খসরু। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অপেক্ষা করতে না হয়। বিএনপির এই দলগুলোর কাজ ইতিমধ্যে শেষের পথে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যেসব প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, সেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নোট অব ডিসেন্ট যেখানে, সেখানে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। দ্বিমত পোষণ করার অর্থ হচ্ছে ঐকমত্য হয়নি। যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেটাও গণভোটে যেতে পারে না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন বাংলাদেশে মানুষ মাথা উঁচু করে চলতে পারবে। উন্নয়ন হবে দুর্নীতিমুক্ত। মানুষ অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারবে। মানুষের অধিকার নিজের কাছে ফিরে আসবে। ভবিষ্যতে তেমন বাংলাদেশ চান তারা, যার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বাংলাদেশে সংস্কারের ধারণা বিএনপি এনেছে। সংস্কারের জন্য বিএনপির ৩১ দফা মানুষ গ্রহণ করেছে। তাই মানুষ বিশ্বাস করে, বিএনপির কাছেই দেশ নিরাপদ। কারণ, ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি কখনো মানুষের ওপর নির্যাতন করেনি।

দ্য ফিন্যান্স টুডের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন আবদুল বারী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, জাহিদ চৌধুরী প্রমুখ।

এই সম্পর্কিত আরো