অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা যদি বলি শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও শিক্ষকদের বিত্ত, এখানে আমরা দেখব বরাবরই ট্র্যাডিশনালি শিক্ষকেরা বিত্তবান ছিলেন না, কিন্তু মর্যাদাবান ছিলেন। তাঁদের চিত্ত ছিল, তাঁদের বিত্ত ছিল না। কিন্তু আমরা বর্তমানকালে যখন বাস করছি, যদি আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিক বলি তাহলে এটা হচ্ছে একটা পুঁজিবাদী যুগ। এখানে সবকিছু পণ্য, শিক্ষা একটা পণ্য এবং শিক্ষকেরাও পণ্য। এ ক্ষেত্রে চিত্তের মাপকাঠি হলো বিত্ত। এই রূঢ় সত্যটা অস্বীকার করলে হবে না। আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটার প্রকাশ ঘটছে আমাদের সমাজে, আমরা সব ধরনের পেশাকে, সরকারি চাকরিকে স্কেলে বেঁধে দিয়েছি, কার অবস্থান কোথায়। আমরা মুখে মুখে যতই শিক্ষককে সম্মান করি না কেন, সেখানে যদি আমরা দেখি শিক্ষকের অবস্থান কোথায় তাহলে কিন্তু প্রকৃত সত্যটা স্পষ্ট হবে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতনের ‘দুরবস্থা’ তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সরকারি শিক্ষা কাঠামোতে সবচেয়ে নিচে রয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা। তাঁরা কততম গ্রেডে বেতন পান?’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাদ দিয়ে যদি হিসাব করি, আমাদের সরকারি কলেজের অধ্যাপক, তাঁর স্কেল কত? চার, অর্থাৎ উনি একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউনেসকোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন-আইসিইএসসিওর মহাপরিচালক সালিম এম আল-মালিক।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম মুস্তফা।