বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন - সিলেটের ছয়টি আসনে ভোটার বেড়েছে দেড় লাখেরও বেশি, কমেছে ভোটগ্রহণ কক্ষ সিলেটবাসীর ৮দফা দাবি গণদাবিতে রূপ নিচ্ছে - কুলাউড়ার টিলাগাঁও স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন দোয়ারাবাজারে পৃথক ঘটনায় নিহত ২ ৩৪ বোতল বিদেশি মদ সহ জৈন্তাপুরে আটক -১ ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেসের তিনটি বগি চলন্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন ভূমি মন্ত্রণালয়ের বড় নিয়োগ, পদ ১২৪ জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর পথরেখা তৈরি হবে: আলী রীয়াজ মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ, তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনবিআর বাউফলের বগা ফেরি বকশিশের নামে চাঁদাবাজি হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালালেন নেপালের মন্ত্রীরা
advertisement
জাতীয়

মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ, তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনবিআর

শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের নাগরিক। তার ট্যাক্স ফাইল ও ব্যাংক একাউন্ট পাওয়া গেছে।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

বাংলাদেশে ট্যাক্স ফাইল ও ব্যাংক হিসাব থাকার ফলে এখন ব্রিটিশ আইনেই টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা হবে। কারণ তিনি মিথ্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

এনবিআরকে দেওয়া নথিতে টিউলিপ বাংলাদেশের অধিবাসী হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করেছেন। এই ঘোষণা দিয়ে তিনি ট্যাক্স ফাইল খুলেছেন, রিটার্নও জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশে এনবিআরকে দেওয়া নথি তিনি ব্রিটিশ ট্যাক্স ফাইলে দেখাননি। 

টিউলিপ ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া শুরু করেন। এরপর থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত তার রিটার্ন দেওয়ার আলামত পাওয়া যায়।

তিনি এই সংক্রান্ত ফাইলে তিনি নিজেকে নিবাসী, অর্থাৎ বাংলাদেশে বসবাসকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যার ফলে বছরে অন্তত ১৮২দিন দেশে থাকতে হতো।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ধারণা, তিনি এই সময় দেশে ছিলেন না, মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু তিনি দাবি করছেন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।

এই তথ্যের ফলে সেটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই তথ্য দিয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আইনেও মামলা করা যাবে। 

সেখানে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। যা টিউলিপ খুলেছেন ১ জুলাই ২০০৭ সালে। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে জমা করা হয়েছিল ৬৫৭৫৭৪ টাকা। সে অ্যাকাউন্টের স্থিতি হলো ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত ৩৪৬৫৬৫৪। এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েও তিনি প্লট নিয়েছেন। এ বিষয়ে এখন এনবিআরের গোয়েন্দা বিভাগ বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছে। 

এর আগে গত ১৩ আগস্ট দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দুদকের আইনজীবী বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব আছে। যদিও টিউলিপ বলে আসছেন, তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেই। যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ এখন বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি।

বিধিবহির্ভূতভাবে সরকারি প্লট নেওয়ার অভিযোগে আগস্টের প্রথমার্ধে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানির ফাঁকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই এমপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

সুলতান মাহমুদ আরও বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট এবং ভোটার তালিকায় তার নাম—সব পাওয়া গেছে। আমরা যথাসময়ে এগুলো দাখিল করব।

যদিও টিউলিপ এই বিচারকে ‘হয়রানি ও প্রহসন’ আখ্যায়িত করছেন। টিউলিপ অনেক আগে থেকে দাবি করে আসছেন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন। তিনি দাবি করেছেন, ‘টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং তিনি শিশু বয়স থেকে কোনো পাসপোর্ট নেননি।’

টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ওই সময় টিউলিপের মা শেখ রেহানাও তার সঙ্গে পালিয়ে যান।

খালা, মা ও দুই ভাই-বোনসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির আইনজীবীরা দাবি করেন, প্লট পাওয়ার যোগ্যতার নিয়ম এড়াতে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌঁসুলি সুলতান মাহমুদ বলেন, টিউলিপের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় থাকা ঠিকানায় একটি সমন পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ঠিকানাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছিল। তার একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি পাসপোর্ট আছে। আমাদের দুদক টিমগুলো, একাধিক টিম তদন্তের জন্য সেসব ঠিকানায় গিয়েছিল এবং যথাসময়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ পদে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি রোধের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রথমবারের মতো এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজনৈতিক চাপের মুখে টিউলিপ পদত্যাগ করেন।

টিউলিপ কোনো ধরনের অনিয়ম করার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলছেন, সরকার ‘বিরোধীদের দমন’ করছে, তার শিকার তিনি।

এই সম্পর্কিত আরো

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সিলেটের ছয়টি আসনে ভোটার বেড়েছে দেড় লাখেরও বেশি, কমেছে ভোটগ্রহণ কক্ষ

সিলেটবাসীর ৮দফা দাবি গণদাবিতে রূপ নিচ্ছে কুলাউড়ার টিলাগাঁও স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন

দোয়ারাবাজারে পৃথক ঘটনায় নিহত ২

৩৪ বোতল বিদেশি মদ সহ জৈন্তাপুরে আটক -১

ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেসের তিনটি বগি চলন্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন

ভূমি মন্ত্রণালয়ের বড় নিয়োগ, পদ ১২৪

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর পথরেখা তৈরি হবে: আলী রীয়াজ

মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ, তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এনবিআর

বাউফলের বগা ফেরি বকশিশের নামে চাঁদাবাজি

হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে পালালেন নেপালের মন্ত্রীরা