মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সুবিপ্রবি নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত স্থাপনের লক্ষে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর স্বারকলিপি খুনী হাসিনা বিদেশে পালিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন : কাইয়ুম চৌধুরী মাওলানা হাবিবুর রহমান - জামায়াত একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সিলেটের টিলা কাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন সিলেটে সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ নেপালের সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ মির্জা ফখরুল - যারা ভাবছেন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে উপকৃত হবেন, ভুল করছেন জনগণই বিএনপির শক্তির একমাত্র উৎস : তারেক রহমান সত্যিই প্রেম করছেন শ্রীলীলা? অসুস্থ যুবদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
advertisement
জাতীয়

কাল ডাকসু ভোট

ডাকসু নির্বাচনই হতে যাচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম পরীক্ষা

রাত পোহালেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ডাকসু নির্বাচন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও আবাসিক হল সংসদগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও প্যানেলগুলোর নির্বাচনী প্রচারাভিযান শেষ হয়েছে গতকাল রবিবার। শুরু হয়েছে কাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই ভোটাভুটির ফল কী হবে তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা ও হিসাব-নিকাশ। তবে সার্বিক চিত্র বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, এককভাবে কোনো প্যানেল জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। এই ভোটগ্রহণ সামনে রেখে বড় একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছেÑ ফ্যাসিবাদ হটানো এই তারুণ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের দিশারি হতে পারবে কি না।

 

অন্যদিকে এই ভোটের দিকেই তাকিয়ে আছে সারা দেশের সব রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেননা সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

 

জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে জুলাই-আন্দোলনের পরে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সবার আগে অনুষ্ঠিত এবারের ডাকসু নির্বাচন হয়ে উঠেছে ভিন্নমাত্রায় অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।

দেশের সব ছাত্র সংসদের অকথিত বা অঘোষিত নেতা হিসেবে পরিচিত এই ‘ডাকসু’। এই নির্বাচন ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তো বটেই, দেশের সব অঞ্চলের মানুষ একাত্মতা অনুভব করছে। পাশাপাশি এই নির্বাচন সুষ্ঠু-স্বাভাবিক এবং নিরাপদ হবে কি নাÑ সে প্রশ্নও আছে। অনেকেই মনে করছেন, ছাত্র সংসদের অভিভাবকতুল্য এই ‘ডাকসু নির্বাচন’ যদি সুষ্ঠু-স্বাভাবিক এবং নিরাপদ হয়, তাহলে সামনের নির্বাচনগুলোও তা-ই হবে। কারণ হিসেবে মনে করছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই ‘ডাকসু’ বাংলাদেশের মানুষের প্রায় সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচার হটাও আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২৪-এর জুলাই-আন্দোলনেও ডাকসু তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা রেখেছেন নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা।

গতকাল সকালের দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের এক চায়ের দোকানে একদল মানুষ চা-পানের সঙ্গে আলাপ করছে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে। কান রাখতেই ভেসে এলো জুলাই অভ্যুত্থানের পরই অনুষ্ঠিত এবারের এই ডাকসু নির্বাচনই হতে যাচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম পরীক্ষা।

একই রকম আলাপ-আলোচনা শোনা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশমুখের (এখন বন্ধ) চায়ের দোকানগুলোতেও। এখানে কাজের ফাঁকে আড্ডা দেওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং অন্য লোকজনের আড্ডার বেশিরভাগ সময় জুড়েই ছিল ডাকসু।

দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে অভিহিত এই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ওপরই নির্ভর করছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। তারা বলছেন, ডাকসু সারা দেশের ছাত্র-জনতার আবেগ, অনুভূতি ও অভিব্যক্তির এক মূর্ত প্রতীক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহবাগের চায়ের দোকানে আলোচনারতরা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমরা মনে করি, ডাকসু নির্বাচনই হতে যাচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি। এই নির্বাচন কেমন হবে তার ওপরই বোঝা যাবে সরকার জাতীয় নির্বাচন কেমন করবে। আমরা চাই এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হোক। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরি করুক।

একই রকম কথা বলেছেন টিএসসির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশমুখের চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডারত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী ও শিক্ষার্থীরাও। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যা উঠে এলো, এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-বিহীন এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে পাঁচটি প্যানেলেরÑ ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ), প্রতিরোধ পর্ষদ (বামপন্থী সাত ছাত্র সংগঠনের যৌথ প্যানেল), উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ এবং ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের (ইসলামী ছাত্রশিবির) মধ্যে।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘সোচ্চার’ এবং ‘ন্যারেটিভ’ নামের দুটি সংগঠনের জরিপ প্রসঙ্গে এখানে আলাপরত একদল বলছে, এটা একপাক্ষিক জরিপ। এ দুই জরিপ তাদের কাছে নিরপেক্ষ নয়। তাদের ভাষ্যÑ এবার ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। কিন্তু এই দুই জরিপ শিবিরকে যেভাবে এগিয়ে রেখেছে তা বাস্তবে সেভাবে প্রতিফলিত হবে না।

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল বাদে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া বিভিন্ন প্যানেলও বলছে একই কথা। তারা বলেছে, এসব জরিপ নিরপেক্ষ নয়। কেননা জরিপ পরিচালনাকারী ‘সোচ্চার’ এবং ‘ন্যারেটিভ’-এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সাবেক কয়েকজন নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা আছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ‘ন্যারেটিভ’ নামের সংগঠনটির ব্যানারে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও অন্যান্য’ বিষয়ক সেমিনার। সেখানে অন্যতম আলোচক ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ। মূল কথা হলো, ছাত্রশিবিরের পক্ষের লোকেরা এসব জরিপ প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষ প্যানেলগুলোর।

সব আলাপ-আলোচনায় উঠে এসেছে এবার ডাকসু নির্বাচনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কোনোভাবেই বলা যাচ্ছে না যে, কোন প্যানেল বা কোন কোন প্রার্থী জয়লাভ করবে। তবে এবারের নির্বাচনে পার্থক্য গড়ে দেবে নারী ভোটার এবং সংখ্যালঘু ভোটাদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় হলের বাইরে অর্থাৎ অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের ভোট। এ ছাড়া এবারের ছাত্রলীগ-বিহীন নির্বাচনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছেন, যতটুকু জানি অতীতের নির্বাচনগুলোতে অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় আবাসিক বা হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি পোল হয়। এবারও সে রকমটা হবে হয়তো। তবে এবার হলগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের একচ্ছত্র প্রাধান্য না থাকায় হলের শিক্ষার্থীরা সংগঠনের আনুগত্যের চেয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বা প্রাধান্য দিয়েই ভোট প্রয়োগ করবে।

এবারের ডাকসু নির্বাচনের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র দেব প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, জাতি-রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা যেমন পালন করেছে; তেমনই মৌলবাদী শক্তিকে দূরে ঠেলে রেখেছে। ভবিষ্যতেও এ বিশ্ববিদ্যালয় এটাই করবে। যে কারণে এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই ডাকসু নির্বাচন; আগামী দিনে দেশ কোনদিকে যাবে সেই দিকনির্দেশনাও দেবে বলে আমি মনে করি।

আগামীকাল সেই বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। সকলেই প্রহর গুনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটার কীভাবে কোন পরিবেশে ভোট প্রদান করে এবং কারা নির্বাচিত হয়।

ডাকসুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ছয় বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন। এর আগে ২৮ বছর ডাকসু আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৯ সালের সর্বশেষ ডাকসু ঘিরে আছে অনেক অনিয়মের অভিযোগ। এর আগে ১৯৭৪ সালের ডাকসু ঘিরেও আছে বিতর্ক। এর বাইরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশেই।

ডাকসু নির্বাচনের অতীত ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার এক বছর পরই প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৩ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ (ডাকসু) রাখা হয়।

১৯২৪-২৫ সালে ডাকসুর প্রথম ভিপি মনোনীত করা হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ডাকসুর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন এসএ বারী এবং জিএস হন জুলমত আলী খান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মোট ৩৭ বার। এর মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে আটবার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহবুবুর জামান। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর।

এই সম্পর্কিত আরো

সুবিপ্রবি নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত স্থাপনের লক্ষে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর স্বারকলিপি

খুনী হাসিনা বিদেশে পালিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন : কাইয়ুম চৌধুরী

মাওলানা হাবিবুর রহমান জামায়াত একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে

সিলেটের টিলা কাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন

সিলেটে সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ

নেপালের সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

মির্জা ফখরুল যারা ভাবছেন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে উপকৃত হবেন, ভুল করছেন

জনগণই বিএনপির শক্তির একমাত্র উৎস : তারেক রহমান

সত্যিই প্রেম করছেন শ্রীলীলা?

অসুস্থ যুবদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান