বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
জাতীয়

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিজের বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি ক্ষমা চান। ফেসবুকে শুরুতেই আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

এরপর বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক সাংবাদিকের সঙ্গে তার বক্তব্যের বিষয় উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম- তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।

ব্যাখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লেখেন, আমার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন।

আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশে লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ (বৃহস্পতিবার) বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সে জন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

পোস্টের শেষে তিনি লেখেন- ‘উল্লেখ্য, ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়েছেন বলে গত বুধবার দাবি করেছিলেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘এ বিষয়ে জানতে আমি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি সময় নিয়ে যাচাই করে জানান, লাইসেন্সের বিষয়টি সঠিক, কিন্তু এটা তার জ্ঞাতসারে করা হয়নি।’

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুকে এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। 

এই সম্পর্কিত আরো