মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে: জামায়াত আমির নগরীতে প্রচার মিছিল - পিআর নয়, এফপিটিপি পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দাবি অ্যাডভোকেট জামানের যুবলীগ নেতা মোশাররফ গ্রেপ্তার সিলেটে আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যে ভাইরাস এবার জিন্দাবাজার ‘মধুচক্রে’ পুলিশের হানা যথাসময়ে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ডিসির কাছে স্মারকলিপি বুধবারের মধ্যে রোডম্যাপের দাবি - শাকসু নির্বাচনের জন্য ১৩ সদস্যের কমিশন গঠন হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নং কূপে ওয়ার্কওভার শুরু - হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুবকের সাথে চলে যাওয়ায় মেয়েকে ‘জবাই করে হত্যা’, বাবা আটক অবশেষে সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর
advertisement
আন্তর্জাতিক

অচলাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, কতদিন চলতে পারে এ শাটডাউন

আইনপ্রণেতারা ব্যয়সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক শাটডাউন (অচল) হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া এই অচলাবস্থার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সরকারি পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আটকে যাবে লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর বেতনও।

বাজেট নিয়ে অচলাবস্থার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সরকার শাটডাউন’ শুরু হওয়ায় দেশব্যাপী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচ বছর পর আবারও যুক্তরাষ্ট্র এ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। সিনেটে ব্যয় বাজেট বিল পাস নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধায় এমনটি হওয়ার আভাস আগেই মিলেছিল। খবর আলজাজিরার।

শাটডাউন কী? 

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ চালানোর জন্য মার্কিন কংগ্রেসকে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়। অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে।

কোনো কারণে কংগ্রেস যদি ব্যয় বিল পাস করতে ব্যর্থ হয় বা প্রেসিডেন্ট সেই বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন, তখনই ঘটে ‘শাটডাউন’। এবারের শাটডাউনের জন্য ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন।

ফলে যতদিন পর্যন্ত কংগ্রেস থেকে অর্থ বরাদ্দ না করা হচ্ছে, ততদিন দপ্তরগুলো বন্ধ থাকবে। ১০০ সদস্যের মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩। 

যে কোনো বিল পাস করাতে অন্তত ৬০টি ভোটের প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে সাত জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের সমর্থন তাদের প্রয়োজন ছিল। সরকারি তহবিল সংক্রান্ত বিলে তা হয়নি। বিলটি ৪৭–৫৩ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।

আর সেই কারণে সিনেটের অনুমোদনও মেলেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ব্যয় বাজেট গঠনকারী ১২টি বিলের কোনওটিই এখনও আইনসভার দুই কক্ষে পাস হয়নি। ফলে শাটডাউনটি হতে চলেছে ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’।

‘শাটডাউন’-এ মার্কিন সরকারের অধিকাংশ দপ্তরের কাজই বন্ধ হয়ে যাবে। চালু থাকবে কেবল জরুরি পরিষেবাগুলো। কোন কোন দপ্তর চালু থাকবে, কত জন কর্মীকে নিয়ে চলবে, তা আলোচনার মাধ্যমে স্থির করা হয়।

যারা শাটডাউন চলাকালীনও কাজ করবেন, তাদের অধিকাংশই বেতন পাবেন না। ‘শাটডাউন’ শেষ হলে আবার তাদের বেতন দেওয়া হবে।

এছাড়া শাটডাউনের প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য দপ্তরে। জরুরি পরিষেবা চালু থাকলেও অনেক কাজই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোনও কোনও কাজ পিছিয়ে যেতে পারে বা সাময়িক ভাবে বন্ধও হতে পারে। মার্কিন শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, অধিকাংশ কর্মীকেই আপাতত বসিয়ে রাখা হবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি চালু থাকবে। এই দপ্তরের কর্মীদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শুল্ক এবং সীমান্তরক্ষা দপ্তরের কর্মীদেরও কাজ করতে হবে। এছাড়া শাটডাউনের মধ্যেও অভিবাসন, পরিবহন নিরাপত্তা, সিক্রেট সার্ভিস, নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার কাজ চালু থাকবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরে বাছাই করা কিছু অংশ খোলা রাখা হবে। তার মধ্যে দক্ষিণ সীমান্ত, পশ্চিম এশিয়া এবং গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অগ্রাধিকার পাবে বলে দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বয়স্ক নাগরিক, প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্যদের মার্কিন সরকারের তরফ থেকে যে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা দেওয়া হয়, তা বন্ধ হচ্ছে না। মার্কিন শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য তহবিল রয়েছে, ততক্ষণ মার্কিন বেকারদের সুযোগসুবিধাগুলো বন্ধ হবে না। তবে বিনা বেতনে কাজ করতে হবে এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীদের।

হোয়াইট হাউজ থেকে শাটডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি স্মারক প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যেসব সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের নিজেদের পরিকল্পনা তৈরির জন্য বলা হয়েছে।

সিনেটে বিলের পক্ষে প্রয়োজনীয় ৬০টি ভোট নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিলটির পক্ষে ৫৫ ও বিপক্ষে ৪৫ ভোট পড়েছে। সেনেটে রিপাবলিকানদের ৫৩টি আসন আছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বার এমন শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে। এটি এক থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলো বিভিন্ন সময়ে।

প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সময়ে কম সময়ের জন্য হলেও আটবার এমন পরিস্থিতি হয়েছিলো। কিন্তু ৯০ এর দশকে এসে এমন শাটডাউনের সময় বেড়েছে।

আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে দুইবার এমন ঘটনা ঘটলো।

সবশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের ছুটির মুখে লাখ লাখ মার্কিনির দুর্ভোগের আশংকার মধ্যে অর্থ বিল পাশ করে ফেডারেল গভর্নমেন্ট শাটডাউন এড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এই সম্পর্কিত আরো

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে: জামায়াত আমির

নগরীতে প্রচার মিছিল পিআর নয়, এফপিটিপি পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের দাবি অ্যাডভোকেট জামানের

যুবলীগ নেতা মোশাররফ গ্রেপ্তার

সিলেটে আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যে ভাইরাস

এবার জিন্দাবাজার ‘মধুচক্রে’ পুলিশের হানা

যথাসময়ে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ডিসির কাছে স্মারকলিপি

বুধবারের মধ্যে রোডম্যাপের দাবি শাকসু নির্বাচনের জন্য ১৩ সদস্যের কমিশন গঠন

হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নং কূপে ওয়ার্কওভার শুরু হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

যুবকের সাথে চলে যাওয়ায় মেয়েকে ‘জবাই করে হত্যা’, বাবা আটক

অবশেষে সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর