শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

প্রকাশ্যে এসেই খামেনি বললেন, ‘ইসরায়েলকে চূর্ণ করেছি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর সাময়িক যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহান ইরানি জাতি ভুয়া জায়নবাদী শাসনের ওপর বিজয় অর্জন করেছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সব প্রচার, সব দাবি সত্ত্বেও জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।’

খামেনি আরও বলেন, ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে হস্তক্ষেপ করেছে। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছিল, যদি তারা হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে জায়নবাদী শাসন ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই যুদ্ধে আমেরিকানরা কিছু অর্জন করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সাম্প্রতিক পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে খামেনি বলেন, ‘ট্রাম্প সত্যটা সামনে এনেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, আমেরিকানরা কেবল ইরানের পরাজয় ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণেই সন্তুষ্ট হবে, অন্য কিছু নয়।’

খামেনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের শাসনব্যবস্থার মৌলিক দ্বন্দ্ব চলেছে। বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাত সামনে এনেছে। বিশেষ করে, মানবাধিকার, নারীর অধিকার, পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ, পারমাণবিক কর্মসূচি, মিসাইল উৎপাদন ইত্যাদি ইস্যু টেনে আনা তাদের কৌশলমাত্র।

খামেনি বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্যে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে গেছে। আগের প্রেসিডেন্টরা এতটা স্পষ্টভাবে বলেননি। কারণ, একটি জাতিকে প্রকাশ্যে আত্মসমর্পণের কথা বলা গ্রহণযোগ্য নয়—এটা অযৌক্তিক।’

‘ইরানকে মাথা নত করাতেই তারা অজুহাত দাঁড় করায়’, যোগ করেন তিনি।

এই সম্পর্কিত আরো