ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার ভোরে চালানো এ হামলায় অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বেশকিছু ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এড়িয়ে তেল আবিব শহরের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলের ভেতরে সামরিক ও সরবরাহ ঘাঁটিগুলোর ওপর ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছে।
হামলার সময় তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে ওঠে এবং বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকাগুলো।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, ইরান থেকে ছোড়া ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৫টি প্রতিহত করা সম্ভব হলেও বাকি ৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের দক্ষিণের হেলেন শহরে আঘাত হানে, যেখানে একটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায় এবং তা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইরানের পাল্টা হামলার পর ইসরায়েল ‘লাইটনিং’ নামের নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে, যা মূলত ড্রোন হামলা প্রতিহত করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে।
এদিকে জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলার এক সপ্তাহ পরেও তেহরানে কোনো ধরনের অস্থিরতা দেখা যায়নি। বরং ইরানি নেতৃত্ব আরও আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়েছে। ইরানি জনগণ সরকারের সমর্থনে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবারের হামলা ছিল ইরানের ১৮তম পাল্টা হামলা। এসব হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেহরান দীর্ঘ মেয়াদে চাপ বজায় রাখতে ও আরও বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। ইরান তার কৌশলগত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখতে যাচ্ছে।