যুদ্ধবাজ ইসরাইলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘চরম অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করল রাশিয়া।
এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। তার বক্তব্য বুধবার প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
রিয়াবকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করছি—ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া কিংবা তা বিবেচনায় নেওয়াটাও পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলবে’।
চলমান সংকটে মস্কো বর্তমানে ইসরাইল ও ইরান—উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলেও জানান রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘পরিস্থিতি সংকটজনক’
এদিকে রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা (এসভিআর) প্রধান সের্গেই নারিশকিন পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পরিস্থিতি এখন চূড়ান্ত সংকটজনক। সামান্য উসকানিতেই এটি এক বিস্তৃত যুদ্ধে পরিণত হতে পারে’।
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও ট্রাম্পের মন্তব্য
রাশিয়ার হুঁশিয়ারির আগে এক মার্কিন সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দল ইসরাইলের পাশে থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করছেন।
এ আলোচনার মধ্যেই ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ‘আমরা জানি সেই তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছে... তবে এখনই তাকে হত্যা করব না। ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে’।
রাশিয়ার অবস্থানের তাৎপর্য
রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সমন্বয় করে চলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিরোধিতা করে আসা মস্কো এখন আরও সরাসরি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।
রাশিয়ার এ অবস্থান শুধু রাজনৈতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি নতুন ভূরাজনৈতিক সংঘর্ষের ইঙ্গিতও বহন করে। বিশেষ করে যদি ওয়াশিংটন সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে চলমান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সূত্র: ইন্টারফ্যাক্স, রয়টার্স, সিএনএন