স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হোসাইন আল সুহানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে এবং নারী আন্দোলনকারীদের পুরুষ পুলিশ সদস্য দ্বারা ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার রাতে ছাত্র-জনতা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা ঘেরাও করেছে।
এ সময় প্রধান গেট আটকে দেওয়ায় থানার মধ্যে ও বাইরে ছাত্র-জনতা আটকা পড়ে। এ নিয়ে সেখানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তর্কাতর্কি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ গেট খুলে দিলে আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিসহ বিক্ষোভকারীরা থানার মাঠে অবস্থান নেন।
এ সময় মহিউদ্দিন রনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুহানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁকে (সুহান) ডেভিল হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান। তবে কেন মামলা করেছে, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ।
রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত থানা কম্পাউন্ডের সামনে মহিউদ্দিন রনিসহ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। আর থানার বাইরে অসংখ্য ছাত্র-জনতা অপেক্ষমাণ রয়েছে। পাশাপাশি থানার গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে গেট আটকে রেখেছে থানা-পুলিশ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা আটক শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। দাবি না মানা হলে স্বেচ্ছায় নিজেদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমাদের সহযোদ্ধাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যতক্ষণ না তাকে মুক্তি দেওয়া হবে, ততক্ষণ আমরা এখান থেকে সরব না। পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে দফায় দফায় আলোচনা হয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে থানার আশপাশে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।