বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতেই হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমির খসরু ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নৃশংস তান্ডবে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল: মুহাম্মদ ফখরুল সিলেটে সাড়ে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই: জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক আটক হাসপাতাল থেকে ৯ দালাল আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড যেভাবে অপহরণের ‘নাটক সাজান’ মুফতি মুহিব্বুল্লাহ, কী বলছে পুলিশ? রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৬ ঘন্টা পর সড়ক ছাড়লেন ব্যাটারিরিকশা শ্রমিকরা ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ফের তুললেন ট্রাম্প জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যায় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি বিপিএলে দল পেতে আবেদন করল যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি
advertisement
সারাদেশ

৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল

রাজশাহীতে বাসা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাশেই পড়েছিল চিরকুট। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

মৃতরা হলেন—মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩১), ছেলে মাহিম (১৪) এবং মেয়ে মিথিলা (৩)। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুটে ঋণের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন। তাদের বসতবাড়ির উত্তরের ঘরে মনিরা বেগম ও তার মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। আর দক্ষিণের ঘরে মিনারুল ইসলাম ও তার ছেলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মিনারুলের লেখা। এতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

চিরকুটে লেখা আছে, আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের কথা। কারণ, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাবো। এই মৃত্যুর জন্য কারও কোনো দোষ নেই। 

এতে লেখা আছে, আমি মিনারুল প্রথমে আমার স্ত্রীকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিমকে (ছেলে) মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে (মেয়ে) মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি। 

চিরকুটে আরও লেখা আছে, আমাদের চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলে ও তার স্ত্রী-সন্তান না দেখে এবং বাপের বড় ছেলে যেন জানাজায় না আসে। আমাদের চারজনকে কাফন দিয়ে ঢাকতে আমার বাবা যেন টাকা না দেয়। এটা আমার কসম। 

চিরকুটের আরেক পাতায় লেখা আছে, আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম, কারণ আমি একা যদি মরে যাই তাহলে, আমার স্ত্রী-সন্তানরা কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমারা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভাল হলো। কারও কাছে কিছু চাইতে হবে না। আমার জন্যে কাউকে মানুষের কাছে ছোট হতে হবে না। আমার বাবা আমার জন্য অনেক মানুষের কাছে ছোট হয়েছে, আর হতে হবে না। চির দিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই সম্পর্কিত আরো

নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতেই হবে: মিয়া গোলাম পরওয়ার

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমির খসরু

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নৃশংস তান্ডবে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল: মুহাম্মদ ফখরুল

সিলেটে সাড়ে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই: জড়িত সন্দেহে সিএনজি চালক আটক

হাসপাতাল থেকে ৯ দালাল আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড

যেভাবে অপহরণের ‘নাটক সাজান’ মুফতি মুহিব্বুল্লাহ, কী বলছে পুলিশ?

রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৬ ঘন্টা পর সড়ক ছাড়লেন ব্যাটারিরিকশা শ্রমিকরা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ফের তুললেন ট্রাম্প

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যায় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি

বিপিএলে দল পেতে আবেদন করল যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি