রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় অস্ত্রের মুখে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার রাতে রায়েরবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ঝোটন (১৯), মো. রবিন (১৯), মো. সুমন মিয়া (২১) ও মো. মোস্তাকিম (১৯)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র ও নগদ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান।
হাফিজুর রহমান বলেন, ওই কিশোরী ধানমন্ডিতে একটি লেডিস পারলারে চাকরি করতেন। রায়েরবাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ওই বাসার নিচতলায় থাকতেন মো. ঝোটন (১৯)। তিনি দুই মাস আগে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই কিশোরী রাজি না হওয়ায় নানা হুমকি দেন। গত শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী কাজ শেষে বাসায় ফেরে। এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় ঝোটন তাকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তিনিসহ আরও কয়েকজন তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। তাঁরা ছিনতাই, ডাকাতি ও ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রথমে তাঁদের মধ্য থেকে দুজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। পরে বাকি দুজনকেও আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গতকাল রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম রায়েরবাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী পরিবার মোহাম্মদপুর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন তাঁদের দোষ স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।