মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন সিলেট-৪ আসনে সামসুজ্জামান জামানকে ঘিরে জল্পনা ওয়াই-ফাই থেকেই ছড়াচ্ছে রেডিয়েশন! কতটা ঝুঁকিতে আমরা? নেত্রকোনা-৪ আসনে লড়বেন লুৎফুজ্জামান বাবর প্রতারণা মামলায় গ্যাস ফিল্ডের ২ কর্মকর্তা কারাগারে মাদরাসায় পড়ার সময়টা সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত ছিল: কেয়া পায়েল বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই সিলেটের আরিফুল-ফয়সল-হুমায়ুন ও কাইয়ুম চৌধুরী নদীভাঙন মানুষের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে -এমরান চৌধুরী যে ১০ নারী পেলেন বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দুই উপজেলায় শোকের ছায়া - পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহত ব্যবসায়ী মানিক মিয়া
advertisement
সারাদেশ

যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যা জানা যাচ্ছে

মাগুরার শ্রীপুরের নাকোল গ্রামের মল্লিকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা, সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলাম।

তার সময়ে মুসল্লিদের কাছ থেকে মসজিদ কমিটির তোলা টাকার কোনো হিসাব ছিল না। এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ জামিরুল ইসলামের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন যুবদল নেতা মুন্সী মিরান হোসেন।

এর জের ধরে সেদিন রাতেই জামিরুলের নেতৃত্বে মিরানের ওপর হামলা করেন গত ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় মিরানকে। পরে গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকার শ্যামলীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিরান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের আগে বিএনপির রাজনীতি করতেন জামিরুল। তবে ২০০৮ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে মিলে মুন্সী মিরান হোসেনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন জামিরুল।

গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন জামিরুল। তবে এলাকার আ.লীগ নেতাকর্মীদের নিজ গ্রুপে যোগদান করিয়ে প্রভাব বিস্তারে আবারও বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন জামিরুল। তবে শুরু থেকেই আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে নিয়ে রাজনীতির বিরোধিতা করেন মিরান। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হয়।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব একটি অজুহাত। রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ায় মিরানকে শায়েস্তা করতে চাইছিলেন জামিরুল। সে কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুঃখজনক হচ্ছে, হামলার জন্য আ.লীগ নেতাকর্মীদের ডেকে আনা হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান সোহান বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী আ.লীগ নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা শুরু করেছে। এ কারণেই গত ১৭ বছরে মিরানের মতো একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে হারাতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, যুবদল নেতা নিহতের খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ হামলার পর গুরুতর আহত মিরানকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে শনিবার রাত ১০টার দিকে মিরানের মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে জামিরুলের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পাশাপাশি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ এবং মাগুরা সদর থানার সামনে সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।যুবদল নেতা মিরান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যা জানা যাচ্ছে

মাগুরার শ্রীপুরের নাকোল গ্রামের মল্লিকপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা, সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলাম। তার সময়ে মুসল্লিদের কাছ থেকে মসজিদ কমিটির তোলা টাকার কোনো হিসাব ছিল না। এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ জামিরুল ইসলামের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন যুবদল নেতা মুন্সী মিরান হোসেন।

এর জের ধরে সেদিন রাতেই জামিরুলের নেতৃত্বে মিরানের ওপর হামলা করেন গত ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় মিরানকে। পরে গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকার শ্যামলীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিরান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের আগে বিএনপির রাজনীতি করতেন জামিরুল। তবে ২০০৮ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে এলাকায় নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে মিলে মুন্সী মিরান হোসেনকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন জামিরুল।

গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন জামিরুল। তবে এলাকার আ.লীগ নেতাকর্মীদের নিজ গ্রুপে যোগদান করিয়ে প্রভাব বিস্তারে আবারও বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন জামিরুল। তবে শুরু থেকেই আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে নিয়ে রাজনীতির বিরোধিতা করেন মিরান। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব আরও তীব্রতর হয়।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব একটি অজুহাত। রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ায় মিরানকে শায়েস্তা করতে চাইছিলেন জামিরুল। সে কারণেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুঃখজনক হচ্ছে, হামলার জন্য আ.লীগ নেতাকর্মীদের ডেকে আনা হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান সোহান বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী আ.লীগ নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা শুরু করেছে। এ কারণেই গত ১৭ বছরে মিরানের মতো একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে হারাতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মো. ইদ্রিস আলী বলেন, যুবদল নেতা নিহতের খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হলে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ হামলার পর গুরুতর আহত মিরানকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে শনিবার রাত ১০টার দিকে মিরানের মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে জামিরুলের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পাশাপাশি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াসিকুর রহমান কল্লোলের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ এবং মাগুরা সদর থানার সামনে সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এই সম্পর্কিত আরো

হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন

সিলেট-৪ আসনে সামসুজ্জামান জামানকে ঘিরে জল্পনা

ওয়াই-ফাই থেকেই ছড়াচ্ছে রেডিয়েশন! কতটা ঝুঁকিতে আমরা?

নেত্রকোনা-৪ আসনে লড়বেন লুৎফুজ্জামান বাবর

প্রতারণা মামলায় গ্যাস ফিল্ডের ২ কর্মকর্তা কারাগারে

মাদরাসায় পড়ার সময়টা সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত ছিল: কেয়া পায়েল

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই সিলেটের আরিফুল-ফয়সল-হুমায়ুন ও কাইয়ুম চৌধুরী

নদীভাঙন মানুষের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে -এমরান চৌধুরী

যে ১০ নারী পেলেন বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন

দুই উপজেলায় শোকের ছায়া পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহত ব্যবসায়ী মানিক মিয়া