রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ১৯জন পর্যটক বহনকারী একটি নৌকা (ইঞ্জিনচালিত) উল্টে গেলে সকল পর্যটক পানিতে পড়ে যায়। তবে অল্পের জন্য সকলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটির শীলছড়িমুখ রাঙাব্যাস ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকায় নৌযানটি উল্টে যায়।
নৌকা ডুবির ভিডিওটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিক ঘটনাটি জানাজানি হয়। ভিডিওটিতে দেখা গেছে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে নারী-শিশু ছিল।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রূপায়ণ চাকমা বলেন, দুর্ঘটনায় কবলিত নৌযানটি সুবলং পর্যটনকেন্দ্র থেকে রাঙ্গামাটি শহরে ফিরছিল। পর্যটকদের বেশির ভাগই নৌকার ছাদে অবস্থান করেছিলেন। কারো সাথে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। নৌযানটি রাঙাব্যাশ ক্যাম্পের কাছে এসে উল্টে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অদক্ষতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
রূপায়ণ চাকমা আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আমরা দুটি স্পিডবোট দিয়ে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি। এছাড়া ওই পর্যটকদের উদ্ধারে পাশে থাকা কয়েকটি নৌযানও দ্রুত এগিয়ে এসে পর্যটকদের উদ্ধারে সহযোগিতা করে।
পর্যটক উদ্ধারে অংশ নেওয়া ‘এম এল সুমি’ লঞ্চটির মাস্টার মো. কামাল বলেন, নৌযানটিতে পর্যটকদের দুটি দলের ১৯জন ছিলেন। এর মধ্যে চারটি শিশু। ওই পর্যটকেরা পাবনা ও চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে এসেছেন। দুর্ঘটনার পর সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের রাঙ্গামাটি শহরে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন ঘাটের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা বোটের ক্যাপাসিটি, পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পড়ানো সবকিছু দেখে ট্যুরিস্ট বোট পরিচালনা করি। গতকালক যে বোটটি ডুবে গেছে সেটি আমাদের না। তবে লাইফ জ্যাকেট না পড়ে পর্যটকদের কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ না করতে নিরুৎসাহিত করছেন তিনি।
রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এরপরও আমি বলবো সতর্ক থাকলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।