‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা দেশে ১৫০টি ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনে দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারেন। পুলিশের ফোকাস এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বান্দরবান বালাঘাটা পুলিশ লাইন পরিদর্শনকালে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুসারে দায়িত্ব পালন সঠিকভাবে করতে পারব- সেই কনফিডেন্স পুলিশের মধ্যে রয়েছে।’
পরিদর্শনকালে তিনি বান্দরবান বালাঘাটা পুলিশ লাইনে পুলিশ প্রশাসনের অর্থায়নে নির্মিত পুলিশ বক্স, শরীরচর্চায় জিমনেশিয়াম, পুলিশ লাইন মেস সংস্কার ও আধুনিকায়ন, গ্যারেজসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ্ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম হাসান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এমনিতেই স্পর্শকাতর অঞ্চল। এখানের সমস্যা দীর্ঘদিনের। পার্বত্যবাসীর প্রতি বিনীত অনুরোধ হুট করেই হুজুগে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে রিয়েক্ট দেখাবেন না, যাতে পাহাড়ে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক ভোট কেন্দ্রেই হেলিকপ্টারে সরঞ্জাম পৌঁছাতে হয়। কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজ চলছে। ভোটারদের শতভাগ ভোট কেন্দ্রে আনাটা কষ্টকর। তারপরও ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে যে, নিরাপদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমেও ভোটারদের মেসেজ দেওয়া হচ্ছে, এবার নির্বাচনে কোনো ঝামেলা করতে পারবে না, নির্বাচন কমিশন এবার অনেক কঠোর।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার, গুজব এগুলোই বর্তমানে বড় ট্রেট। পুরোনো ভিডিও ছবি আপলোড করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে; এগুলোর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নানাবিধ অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। এদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, পুলিশ অপপ্রচার গুজবের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই পুলিশের মধ্যে মোটিভেশন কার্যক্রম চলছে। পুলিশের ভুল-ত্রুটিগুলো কাটিয়ে উঠে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি। পুলিশের মধ্যে যারা অপরাধী তারা যেন শাস্তি পায় এবং বিনাদোষে যেন কেউ কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। পুলিশ সদস্যদের ন্যায়বিচার দেওয়ার চেষ্টা করছি, এতে পুলিশের মধ্যে আস্থা তৈরি হচ্ছে। পুলিশের সুযোগ সুবিধা এবং পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।