মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
ক্যাম্পাস

যে কারণে ভোট গণনায় এতো দেরি, জানাল নির্বাচন কমিশন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায়। শুক্রবার বিকাল ৩ টায়ও ভোট গণনা শেষ হয়নি। ২২ ঘণ্টায়ও কেন গণনা শেষ হয়নি সেটি নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠনের বর্জন করা এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ভোট পড়েছে ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। তবে এরপরও সারিতে থাকা ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।

গতকাল জানানো হয়েছিল যে, শুক্রবার সকাল নাগাদ ফল ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যাচ্ছে। তবুও ভোট গণনা শেষ হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম রাশিদুল আলম শুক্রবার জানান, রাতে ভোট গণনা শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন।

ভোট গণনা ও ফলাফলে কেন এত দেরি জানতে চাইলে রাশিদুল আলম কয়েকটি কারণ জানান।

প্রথমত: ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকজন প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানুয়ালি (হাতে ভোট গণনা) করার সিদ্ধান্ত হয়। রাশিদুল আলম বলেন, এতোগুলো হল সংসদে ভোট হলো, কেন্দ্রীয় সংসদে ভোট হলো। এটা তো অবশ্যই স্বাভাবিক যে ম্যানুয়ালি হিসাব করলে একটু বেশি সময় লাগবে।

দ্বিতীয়ত: বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও দুটি হলে কিছুটা দেরি হয়েছিল। দু-একটি হলে মাঝপথে কিছুটা সময় স্থগিত ছিল। বিশেষ করে গতকাল দুটি বড় হলে, যেখানে ১ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন, সেখানে দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণ খুব কম হয়েছিল। পরে বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে লাইনে অনেক ভোটার চলে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের সবাইকে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার কথা। এটি করতে গিয়ে ওই ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স আসতেই প্রায় সাড়ে ৯ টা বেজে গিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী সব কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স না আসা পর্যন্ত ভোট গণনা শুরু হবে না। এ কারণে ভোট গণনা শুরু করতেই রাত ১০টা বেজে যায়।

তৃতীয়ত: যেহেতু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়ে সবার আগে থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা জানাশোনা ছিল না, তাই ভোট গণনার শুরুর দিকে অনেকটা ধীর গতিতে কাজ এগিয়েছে। পরে অবশ্য ভোট গণনার গতি বেড়েছে।

চতুর্থত: সিনেট ভবনের কক্ষে শুরুতে ৫টি টেবিলে (প্রতি টেবিলে একটি হলের) ভোট গণনা শুরু হয়। এই টেবিলগুলো সিসিটিভির পর্যবেক্ষণে ছিল। পরে আজকে সকালে টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হয়েছে। এসব টেবিলের পাশেও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যাতে সবকিছু সবাই পর্যবেক্ষণ করতে পারে, রেকর্ড হয়।

পঞ্চমত: বৃহস্পতিবার রাতে অনেক হলের পোলিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও পোলিং এজেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন। পোলিং এজেন্টদের সামনেই ব্যালট বাক্স খোলা ও সব হিসাব করা উচিত। আবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকা বাধ্যতামূলক। রাশিদুল জানান, আমরাও সেই চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এত সময় কিছু হলের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় ভোট গণনায় দেরি হয়।

ষষ্ঠত: এছাড়া একজন শিক্ষিকা মারা গেছেন। তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া শোকাবহ পরিস্থিতি ও জানাজায় অংশগ্রহণও ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ার একটি কারণ। 

এই সম্পর্কিত আরো