শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির - যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি - যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?
advertisement
অর্থ-বাণিজ্য

এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থপাচার রোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় দুটিই বেড়েছে। এতে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম কমে আসার কথা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে।

এ কারণে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দামে এ ডলার কেনা হয়েছে।

ফলে চলতি অর্থবছরে এই পর্যন্ত ১৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কেনা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের দামও ১২০ টাকার ওপরে থাকছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এখন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব দেশের বেশি বাণিজ্য সম্পর্ক আছে, সেই দেশগুলোর মুদ্রার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি দেশের বাজারে ডলারের সরবরাহ ও চাহিদার পাশাপাশি দামও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ জন্য প্রতিদিন সকালে ডলারের দাম (রেফারেন্স রেট) প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো কারণে দেশের ডলারের দাম ঘোষিত এই রেফারেন্সের চেয়ে কমে এলে ডলার কেনার জন্য নিলাম ডাকছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে। যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ডলার ছিল, তারা নিলামে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এই ডলার বিক্রি করেছে। এই পদক্ষেপের ফলে ডলারের দাম এখন পুরোপুরি বাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি অন্যতম শর্ত ছিল। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ রিজার্ভ থাকার কথা, বর্তমানে তার চেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। তাতে ডলারের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে বড় ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে প্রতি ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২২ টাকায় পৌঁছায়। এতে দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তোলে। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

গত তিন অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ২৫ বিলিয়নের বেশি ডলার বিক্রি করেছে, যা মূলত জ্বালানি, সার ও খাদ্য আমদানি বিল মেটাতে ব্যবহার হয়েছে। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানির জন্য ডলার সহায়তা বন্ধ করে দেয়। এ বছরের মার্চে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ডলারের দাম কমতে শুরু করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কেনা শুরু করে।

এদিকে দেশে ডলার-সংকট কাটাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে প্রবাসীদের পাঠানো আয়। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত অর্থবছর শেষে দেশে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর একই বছর আমদানিতে খরচ হয় ৬৮ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি।

এই সম্পর্কিত আরো

শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই

সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ

গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার

শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল

নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত

আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান

শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি

বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?