শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
অর্থ-বাণিজ্য

কোন সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কত

ব্যাংক খাতের দুরবস্থার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম ভেবেই সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন মধ্যবিত্তরা। নিরপাত্তার পাশাপাশি এখানে সুদের হারও বেশ ভালো। পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র—বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এই চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগ করতে পারে।

চার ধরনের সঞ্চয়পত্রের মধ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এই সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছর শেষে (অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির পর) মুনাফা ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এই সঞ্চয়পত্রে যদি সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদপূর্তির পর মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী বা স্ত্রী বা সন্তান এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পর সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পরিবার সঞ্চয়পত্রে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নারীরাই কিনতে পারবেন। এই সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করা হলে মেয়াদ পূর্তিতে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে এই হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে। তবে, এই হার সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ হলে আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

মেয়াদ পূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফা কমে যায়। প্রতিবছর জুলাই ও জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পর্যালোচনা করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে, মুনাফার হার কম-বেশি করা হয়।

এই সম্পর্কিত আরো